ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ

যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2661 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। ফলস্বরূপ, মূল্য 1.2693 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পায়। সেখান থেকে একটি বাউন্সের ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রি করেও প্রায় 15 পিপস লাভ করা সম্ভব হয়।

গতকাল, ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের প্রভাবে হয়েছে। দিনের শেষভাগে প্রকাশিত দেশটির উৎপাদন কার্যক্রম সূচক হ্রাস পেয়েছে, যা মার্কিন অর্থনীতির স্থায়ীত্ব সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং ডলারের অবস্থানকে দুর্বল করেছে।

আজকের প্রতিবেদন ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্যে জবলেস বেনিফিট ক্লেইমসের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। অর্থনীতিবিদরা আজ এই সূচকের বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন, যা অর্থনৈতিক সংকটের সংকেত দিতে পারে। বেকারত্বের হার বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কার্যক্রমে মন্দা এবং বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে, প্রাসঙ্গিক কারণও বিবেচনা করা উচিত, মৌসুমী কারণ বা স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য ওঠানামা দেখা যেতে পারে।

একই সময়ে, যদি বেকারত্বের হার স্থিতিশীল থাকে, তবে জবলেস বেনিফিট ক্লেইমসের সংখ্যা বাড়লেও এটি একটি ইতিবাচক সংকেত হবে, যা নির্দেশ করে যে অর্থনীতির কিছু খাত শ্রমবাজারকে সমর্থন করছে। কর্মসংস্থানের স্থিতিশীলতা ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গড় আয়ের বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি মজুরির হার বাড়ে, তবে সেটি উচ্চ বেকারত্বের নেতিবাচক প্রভাবগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে, যা ভোক্তাদের আস্থা বাড়াতে এবং বাজারে ব্যয়ের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2721-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2693-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2721-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। আজ শুধুমাত্র সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পরেই পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়।

গুরুত্বপূর্ণ ! কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2676-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2693 এবং 1.2721-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ এই 1.2676-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচে নেমে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2653-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে।

গুরুত্বপূর্ণ ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2693-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2676 এবং 1.2653-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী আছে:

• হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
• হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
• MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:

• মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
• গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
• সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
• স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
• সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।