সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, 1.0451–1.0596 এর হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। আমরা চার্টটি জুম করে দেখতে পেয়েছি যে কতদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য এই সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। এখন পর্যন্ত, ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে প্রচুর মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। তবে, আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে গত তিন সপ্তাহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তবুও এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়ে গেছে। সুতরাং, গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট থাকা মানেই যে ফ্ল্যাট প্রবণতার শেষ হবে তা নিশ্চিত নয়।
গতকাল জার্মানি, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত সূচকগুলোর ফলাফল মিশ্র ছিল। পরিষেবা খাতের শক্তিশালী ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে উৎপাদন খাতের ফলাফল হতাশাজনক ছিল। এর ফলে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোর মূল্য কোনো নির্দিষ্ট দিক নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য দু'বার 1.0526 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল এবং তৃতীয়বার রাতে একই লেভেল টেস্ট করেছিল। অন্তত প্রথম সিগন্যালটি কার্যকর করা যেত, তবে মূল্য সবচেয়ে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা ম্যানুয়ালি পজিশন ক্লোজ করে কিছু মুনাফা নিতে পারতেন। আজ ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা তাত্ত্বিকভাবে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এখনও কারেকশন হচ্ছে এবং 1.0451–1.0596 এর হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং হচ্ছে। দুই মাসের দরপতনের পরে মার্কেটে ইউরো ক্রয়ের ব্যাপারে কোন তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে না। এই সপ্তাহে মূল্য এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানা ব্রেক করে নিচের দিকে নামতে পারে, যা তিন মাস আগে শুরু হওয়া নিম্নমুখী প্রবণতার পুনঃসূচনা নির্দেশ করবে। তবে, অনেক কিছুই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এবং মৌলিক বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করবে।
মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের স্পষ্ট কোন মুভমেন্ট প্রত্যাশা করা কঠিন। যদিও আজ বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এই পেয়ারের মূল্য এখনও উল্লিখিত হরাইজন্টাল চ্যানেলের নিম্ন সীমানা ব্রেক করতে পারেনি। সুতরাং, ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে: 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896। মঙ্গলবার, ইউরোজোনে জার্মানির ব্যবসায়িক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক প্রত্যাশা এবং অনুভূতির ওপর বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা আমরা গুরুত্বের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে আজ মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।