মহা ভাজিরালংকর্ন
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের মোট সম্পদের পরিমাণ $43 বিলিয়ন। অনুমান অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে তিনিই সবচেয়ে ধনী রাজা। তার এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের উৎস বেশ কয়েকটি, যার মধ্যে একটি সিমেন্ট কোম্পানি এবং থাইল্যান্ডের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাংক রয়েছে, সেইসাথে বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় জাতীয় কোম্পানিতে তার অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি ব্যাংককে রিয়েল এস্টেট হোল্ডিংয়ের নিয়ন্ত্রণ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, তার এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেশটির ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রতিবাদকারীদের কাছ থেকে সমালোচনা কুড়িয়েছে।
মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক $30 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের ধনী রাজাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তার এই বিপুল সম্পদের উৎস হচ্ছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস। আল নাহিয়ান পরিবার বিশ্বের মোট তেল রিজার্ভের প্রায় 6% এর মালিক, যা তাদের আয়ের প্রাথমিক উৎস হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক পরিবারের ব্যয়বহুল সম্পত্তি রয়েছে, যার মধ্যে কাসর আল ওয়াতান প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস রয়েছে, যার মূল্য $475 মিলিয়ন।
হাসানাল বলকিয়াহ
সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ 1967 সাল থেকে ব্রুনাই শাসন করেছেন এবং $28 বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজাদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন। তার আয়ের প্রাথমিক উৎস ব্রুনাইয়ের বিপুল তেল ও গ্যাস, যা দেশটির জিডিপির সিংহভাগ এবং পুরো রাজপরিবার এই উৎস থেকে আয় করে থাকে। সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ তার বিলাসবহুল জীবনধারা এবং বিলাসবহুল গাড়ি সংগ্রহের জন্য পরিচিত - তার সংগ্রহে মোট 7,000 এরও বেশি গাড়ি রয়েছে। 257টি বাথরুম এবং পাঁচটি সুইমিং পুল সহ তার প্রাসাদটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রাসাদের মধ্যে একটি।
সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ
সৌদি আরবের শাসক বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ধনী রাজাদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, বর্তমান যার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় $18 বিলিয়ন। সৌদি আরবের তেলের মজুদই তার এই সম্পদের প্রাথমিক উৎস, যা দেশটিরও আয়ের প্রধান উৎস। তাছাড়া, আল সৌদ পরিবার ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেট এবং টেলিকমিউনিকেশনের মতো খাতে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিনিয়োগ পরিচালনা করে, তাদের আর্থিক সম্পদকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় $14 বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। আল মাকতুম দুবাইকে একটি বৈশ্বিক মহানগরীতে রূপান্তরিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি এমিরেটস এয়ারলাইন্স, জুমেইরাহ গ্রুপ এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডের মতো কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। তার নেতৃত্বে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফা, বুর্জ আল আরব এবং পাম আইল্যান্ডের মতো আইকনিক প্রকল্প নির্মিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় হ্যান্স-আডাম
লিচেনস্টাইনের যুবরাজ ইউরোপের সবচেয়ে ধনী সম্রাট বলে স্বীকৃত। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক $4 থেকে $9 বিলিয়ন ডলার। তার সম্পদের প্রাথমিক উৎস হল রাজপরিবারের এলজিটি গ্রুপ ব্যাংক, যা $300 বিলিয়ন মূল্যের সম্পদ পরিচালনা করে। এছাড়াও, হ্যান্স-অ্যাডাম II অস্ট্রিয়ার দুর্গ এবং আঙ্গুরখেত সহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমির মালিক, এবং তার সংগ্রহে রুবেনস ও ভ্যান ডাইকের শিল্পকর্ম সহ অন্যান্য ব্যয়বহুল শিল্পকর্ম রয়েছে।
হেনরি আলবার্ট গ্যাব্রিয়েল ফেলিক্স মেরি গুইলাম গ্র্যান্ড ডিউক অফ লুক্সেমবার্গ
হেনরি যিনি ২০০০ সাল থেকে লুক্সেম্বার্গ শাসন করে আসছেন এবং তার মোট সম্পদের পরিমাণ $4 বিলিয়ন ডলারের বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বার্ষিক বেতন গ্রহণ করেন না। তার সম্পদের প্রধান উৎস হল তার বিশাল ব্যবসা, সেইসাথে তিনি সক্রিয়ভাবে কৃষি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো বিভিন্ন শিল্পখাতে বিনিয়োগ করে থাকেন। এটাও জানা যায় যে এই ডিউক পরিবারের লুক্সেমবার্গ এবং বিদেশে অনেক মূল্যবান সম্পত্তি রয়েছে।
তামিম বিন হামাদ আল থানি
কাতারের আমিরের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ $2 বিলিয়ন ডলারের বেশি। তার আয়ের প্রাথমিক উৎস হচ্ছে কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি (কিউআইএ), এটি একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল যা বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রকল্পে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে থাকে। উপরন্তু, আল থানি লন্ডনের দ্য শার্ড স্কাইস্ক্র্যাপারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্বের অধিকারী। এছাড়াও তিনি ওরিক্স কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের মালিক, যার মধ্যে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই ফুটবল ক্লাব রয়েছে।
ষষ্ঠ মোহাম্মদ
মরোক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক প্রায় $2 বিলিয়ন, এবং তিনি আফ্রিকার অন্যতম ধনী সম্রাট হিসেবে বিবেচিত। তার সম্পদের মূল উৎস হল সোসাইট ন্যাশনাল ডি ইনভেস্টিসমেন্টের 35% শেয়ার, যা একটি বেসরকারি বিনিয়োগ কোম্পানি যেটিতে আত্তিজারিওয়াফা ব্যাংক, ওসিপি গ্রুপ এবং ম্যানেজেম গ্রুপের মতো মরক্কোর বড় বড় কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। উপরন্তু, মোহাম্মদ ষষ্ঠ মরক্কো এবং তার বাইরেও বেশ কিছু বিলাসবহুল প্রাসাদ এবং বিশাল পরিমাণ জমির মালিক। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সম্পত্তিগুলোর মধ্যে একটি হল কাসাব্লাঙ্কার একটি প্রাসাদ, যেটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে $1 মিলিয়ন খরচ হয়।
দ্বিতীয় অ্যালবার্ট
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজার তালিকায় মোনাকোর যুবরাজ দ্বিতীয় আলবার্ট জায়গা করে নিয়েছেন, যার মোট সম্পদের পরিমাণ $1 বিলিয়ন। তার বেশিরভাগ সম্পদ মোনাকোর সমৃদ্ধ অর্থনীতির কল্যাণে অর্জিত হয়েছে, যা পর্যটন এবং রিয়েল এস্টেট খাত থেকে সমৃদ্ধ হয়েছে। মোনাকো বিলাসবহুল ক্যাসিনো, ইয়ট এবং অভিজাত রিয়েল এস্টেটের জন্য বিখ্যাত, যা বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের আকর্ষণ করে। এছাড়াও, দ্বিতীয় অ্যালবার্ট পারিবারিক ব্যবসা এবং বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মালিক, যা থেকে তিনি যথেষ্ট আয় করে থাকেন।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $6000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা ডিসেম্বর $6000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন